Sunday, February 18, 2018

জৈব রসায়ন অ্যারোমেটিক অংশ হতে বোর্ড পরীক্ষায় যেমন প্রশ্ন হতে পারে

#জৈব রসায়নে যাদের বেশি সমস্যা তাদের জন্য -
#অ্যারোমেটিক অংশ থেকে ফাইনালে একটি প্রশ্ন থাকবে তাই কিভাবে সৃজনশীল ধরতে তার জন্য কিছু টাইপ দেওয়া হল:
.
#Type 1: ইথাইন থেকে বেনজিন প্রস্তুুতির বিক্রিয়া এবং বেনজিনের ফ্রিডেলক্রাফট অ্যালকাইলেশনের সমন্বয়ে সৃজনশীল : উদ্দীপকে ইথাইন এবং ইথানের সাথে আয়রন প্রভাবক ও তাপমাত্রা ৪৫০ ডিগ্রি দেওয়া থাকবে এবং উৎপাদকে X অথবা Y দ্বারা চিহ্নিত করে দিবে।এই রকম শর্ত উদ্দীপকে থাকলে বুঝতে X অথবা Y হলো বেনজিন। 
পরবর্তী যে শর্তটি উদ্দীপকে দেওয়া থাকবে তা হল X বা Y এর ফ্রিডেলক্রাফট অ্যালকাইলেশ। এই শর্ত দেখে বুঝাতে হবে এটি টলুইন। মনে রাখবে টলুইন ও বেনজিনের মধ্যে টলুইন ইলেকট্রন আকর্ষী প্রতিস্থাপন বিক্রিয়ায় অধিক সক্রিয়।
.
#Type 2: ফেনল থেকে বেনজিন প্রস্তুুতি এবং ফেনল ও বেনজিনের মধ্যে ইলেকট্রন আকর্ষী প্রতিস্থাপন বিক্রিয়ায় সক্রিয়তার তুলনামূলক সৃজনশীল: ফেনল কে দস্তার গুড়ার(Zn) সাথে উওপ্ত করলে Zn ফেনল হতে OH অপসারন করে বেনজিন তৈরি করবে। 
মনে রাখবেন, বেনজিন ও ফেনলের মধ্যে ফেনল ইলেকট্রন আকর্ষী প্রতিস্থাপন বিক্রিয়ায় অধিক সক্রিয়। কারণ ফেনলে আছে -OH মূলক যা অর্থ-প্যারা নির্দেশক।
.
#Type 3: বেনজিন থেকে নাইট্রোবেনজিন প্রস্তুুতি এবং নাইট্রোবেনজিন থেকে অ্যানিলিন প্রস্তুুতিমূলক সৃজনশীল: বেনজিনের নাইট্রেশন বিক্রিয়াটি উদ্দীপকে প্রভাবক সহ দেওয়া থাকবে। এবং উৎপাদকে X অথবা Y দ্বারা চিহ্নিত করা হবে তাহলে বুঝাতে এই X অথবা Y হলো নাইট্রোবেনজিন। এখন নাইট্রোবেনজিন থেকে অ্যানিলিন বা প্রাইমারি অ্যারোমেটিক অ্যামিন প্রস্তুুত: 
১)টিনের(Sn) সাথে HCl এর বিক্রিয়া করিয়ে জায়মান হাইড্রোজেন তৈরি করতে হবে অর্থাৎ Sn + HCl = SnCl2 + [H]
২)নাইট্রোবেনজিনকে জায়মান হাইড্রোজেন দিয়ে বিজারিত করলে নাইট্রোবেনজিনের -NO2 মূলক হতে অক্সিজেন হাইড্রোজেনের সাথে চলে যাবে এবং অপর হাইড্রোজেন নাইট্রোজেনের সাথে যুক্ত হয়ে -NH2 মূলক তৈরি করবে ফলে অ্যানিলিন তৈরি হবে অর্থাৎ
C6H5 -NO2 + [H] = C6H5NH2 + H2O.
.
#Type 4: টলুইন থেকে বেনজিন প্রস্তুুতি এবং টলুইন ও বেনজিনের মধ্যে ইলেকট্রন আকর্ষী প্রতিস্থাপন বিক্রিয়ায় সক্রিয়তার তুলনামূলক সৃজনশীল: টলুইনকে হাইড্রোজেনের সাথে বিক্রিয়া করালে বেনজিন উৎপন্ন হয় তবে এক্ষেত্রে প্রভাবক ব্যবহার করতে প্লাটিনাম(Pt) এবং তাপমাত্রা ৬০০ ডিগ্রি সে.অর্থাৎ
C6H5 -CH3 + H2 = C6H6 + CH4.
.
#Type 5: নাইট্রোবেনজিন খেকে অ্যানিলিন এবং অ্যানিলিন থেকে ডায়াজোনিয়াম লবণ প্রস্তুুতি এবং নাইট্রোবেনজিন ও অ্যানিলিনের মধ্যে ইলেকট্রন আকর্ষী বিক্রিয়ায় সক্রিয়তার তুলনামূলক সৃজনশীল:
নাইট্রোবেনজিন থেকে প্রথমে অ্যানিলিন প্রস্তুুত করবে তারপর অ্যানিলিন থেকে ডায়াজোনিয়াম লবণ তৈরি করবে।
ডায়াজোনিয়াম লবণের সংকেত: C6H5 -N2Cl.
অ্যানিলিনকে HCl এর সাথে বিক্রিয়া করালে ডায়াজোনিয়াম লবণ তৈরি হবে।
মনে রাখবে, অ্যানিলিন এবং নাইট্রোবেনজিনের মধ্যে ইলেকট্রন বিক্রিয়ায় অ্যানিলিন সবচেয়ে সক্রিয়।
.
#Type 6: বেনজিন থেকে ক্লোরোবেনজিন প্রস্তুুতি এবং ক্লোরোবেনজিন থেকে অ্যানিলিন ও ফেনল প্রস্তুুতি মূলক সৃজনশীল: ক্লোরোকেনজিনকে অ্যামোনিয়া ও কিউপ্রাস অক্সাইডের সাথে বিক্রিয়া করালে অ্যানিলিন উৎপন্ন হয়
C6H5 -Cl + NH3 + Cu2O = C6H5 -NH2 (অ্যানিলিন)।
বেনজিন থেকে ক্লোরোবেনজিন প্রস্তুুতি:
C6H6 + Cl2 = C6H5 -Cl
ক্লোরোবেনজিন থেকে ফেনল প্রস্তুুতি:
১ম ধাপ:
C6H5 -Cl + NaOH = C6H5 -ONa + NaCl
২য় ধাপ:
C6H5 -ONa + HCl = C6H5 -OH(ফেনল)।
.
#Type 7: টলুইন থেকে বেনজালডিহাইড প্রস্তুুতি এবং বেনজালডিহাইডের ক্যানিজারো বিক্রিয়া মূলক সৃজনশীল:
টলুইনকে ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্মাইড(MnO2) দ্বারা জারিত করলে বেনজালডিহাইড তৈরি হয়।
মনে রাখবে, ক্যানিজারো বিক্রিয়া দেয়;
১)মিথান্যাল
২)বেনজালডিহাইড
৩)ট্রাইমিথাইল অ্যাসিটালডিহাইড
.
#Type 8: অ্যানিলিনের নাইট্রেশন ও কার্বিল অ্যামিন বিক্রিয়া মূলক সৃজনশীল: 
অ্যানিলিনকে নাইট্রেশন করলে মেটা নাইট্রোঅ্যানিলিন উৎপন্ন হয় কারণ ব্যাখ্যা করা হল:
অ্যানিলিনকে নাইট্রেশন করলে মধ্যবর্তী একটি অস্থায়ী যৌগ তৈরি হয়, যৌগটির নাম অ্যানিলিয়াম বাইসালফেট যা মেটা নির্দেশক তাই নাইট্রোমূলক যখন অ্যানিলিনকে আক্রকন করে মেটা অর্থাৎ ৩ নং কার্বন বরাবর তাই মেটা নাইট্রোঅ্যানিলিন উৎপন্ন হয়। বিক্রিয়াটি বই দেখে নিবে এবং বিক্রিয়াটি উপরের কথা গুলো লিখে দিলে ফুল নাম্বার পাওয়া যাবে।
*মনে রাখবে, কার্বিল অ্যামিন বিক্রিয়া দেয়:
১)অ্যানিলিন বা প্রাইমারি অ্যারোমেটিক অ্যামিন
২)প্রাইমারি অ্যালিফিটিক অ্যামিন
৩)ক্লোরোফরম
.
#Type 9: ডাউ পদ্বতিতে ফেনল প্রস্তুুতি এবং ফেনল থেকে প্যারাসিটামল ও অ্যাসপিরিন প্রস্তুুতি মূলক সৃজনশীল :
.
#Type 10: ফেনল থেকে ক্লোরোবেনজিন প্রস্তুুতি এবং অ্যানিলিন থেকে ফেনল প্রস্তুতি মূলক সৃজনশীল।
.
#Type : 11 ফেনল ও ডায়াজোনিয়াম লবণের যুগলায়ন বিক্রিয়া
.
**বি.দ্র: উল্লিখিত ১১ টাইপের তথ্য গুলো ভালো করে পড়লে অ্যারোমেটিক অংশ থেকে যেভাকেই সৃজনশীল প্রশ্ন করা হোক সহজে উওর দেওয়া যাবে। উল্লিখিত তথ্যগুলো বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করবেন।
#collected by-Mahasin

Friday, February 16, 2018

-এইচএসসি চূড়ান্ত প্রস্তুতি-২০১৮ জীববিজ্ঞান ২য় পত্র

এইচএসসি প্রস্তুতি - ২০১৮
জীববিজ্ঞান ২য় পত্র .
_
_
★১ম অধ্যায়-প্রাণীর বিভিন্নতা ও শ্রেণিবিন্যাসঃ . প্রতিসাম্য সিলোম এর প্রকারভেদ ও উদাহরণ পরিফেরা, নিডারিয়া, প্লাটিহেলমিনথেস, নেমাটোডা, মলাস্কা, অ্যানিলিডা, অার্থোপোডা, একাইনোডারমাটা পর্বের বৈশিষ্ট্য .
_
_
★২য় অধ্যায়-প্রাণীর পরিচিতিঃ .
আদর্শ নিডোসাইটের গঠন নেমাটোসিস্টের প্রকারভেদ হাইড্রার চলন মিথোজীবীতা প্রতীক প্রাণী- ঘাস ফড়িং:
মুখোউপাঙ্গের বিভিন্ন অংশ পৌষ্টিকতন্ত্রের প্রকারভেদ ও উদাহরণ পুঞ্জাক্ষি দর্শন কৌশল প্রতীক প্রাণী-রুই মাছ:
পাখনা,রক্ত,হৃদপিন্ড কোন ধমনি থেকে কোথায় রক্ত সরবরাহ করে বায়ুথলি জীবনচক্র . _
_
_
★৩য় অধ্যায়-মানব শারীরতত্ত্ব-পরিপাক ও শোষণঃ
. মুখগহ্বর, পাকস্থলি, ক্ষুদ্রান্তে খাদ্যের পরিপাক যকৃতের সঞ্চয়ী ভূমিকা শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য স্থুলতা .
_
_
★৪র্থ অধ্যায়-মানব শারীরতত্ত্ব -রক্তঃ
রক্তকণিকার বৈশিষ্ট্য,কাজ হার্টবিট কার্ডিয়াক চক্র হার্টঅ্যাটাক,হার্টফেইলর রোগগুলোর লক্ষণ ও চিকিৎসা ভাল করে পড়বে .
_
_
★৫ম অধ্যায়-মানব শারীরতত্ত্ব-শ্বসন ও শ্বাসক্রিয়াঃ
ট্রাকিয়া,ফুসফুস,অ্যালভিওলাসের গঠন অক্সিজেন,কার্বনডাইঅক্সাইড এর গ্যাসীয় পরিবহন সাইনাসের নাম ধূমপায়ী ও অধূমপায়ী মানুষের ফুসফুসের এক্সের তুলনা .
_
_
★৬ষ্ঠ অধ্যায়-মানব শারীরতত্ত্ব-বর্জ্য ও নিষ্কাশনঃ
বুক্কের গঠন ও কাজ নেফ্রনের গঠন মূত্র সৃষ্টির প্রক্রিয়া নেফ্রনের প্রকারভেদ . _
_
★৭ম অধ্যায়-মানব শারীরতত্ত্ব-চলন ও অঙ্গচালনাঃ
অস্হিসমূহের সংখ্যা করোটিকা ও মুখমন্ডলীয় অস্থির ধরন ও উদাহরণ তরুনাস্থির প্রকারভেদ পেশির প্রকারভেদ .
_
_
★৮ম অধ্যায়-মানব শারীরতত্ত্ব-সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণঃ
মস্তিষ্ক: অগ্র, মধ্য, পশ্চাদ A to Z নিউরন স্নায়ুর নাম ও কাজ চোখ: কোরয়েড, রেটিনা অক্ষিপেশি,অক্ষি গ্রন্থি কান: বহিকর্ণ,মধ্যকর্ণ,অন্তকর্ণ,ভূমিকা রাসায়নিক সমন্বয়: হরমনের বৈশিষ্ট্য,এন্ডো কাইন গ্রন্থি থেকে নিসৃত হরমন ও প্রধান কাজ,হরমনের positive+ negitive প্রভাব . _
_
_
★৯ম অধ্যায়-মানব জীবনের ধারাবাহিকতাঃ
পুং প্রজনন ও স্ত্রী প্রজনন হরমনের ভূমিকা রজচক্রের ধাপ ইমপ্ল্যান্টেশন ভ্রুণীয় স্তরে পরিণত IVF পদ্ধতি যৌনরোগ . ★১০ম অধ্যায়-প্রতিরক্ষাঃ ১ম,২য়,৩য় প্রতিরক্ষা স্তরের উপাদান ও ভূমিকা ম্যাক্রোফেজ নিউট্রোফিল ফ্যাগোসাইটোসিস এর ধাপ সমূহ এন্টিবডির গঠন ও প্রকারভেদ টিকার বৈশিষ্ট্য ও ভূমিকা .
_
_
★১১তম অধ্যায়-জিনতত্ত্ব ও বিবর্তনঃ
সঙ্গা: ফ্যাক্টর, লোকাস, টেস্ট ক্রস,ব্যাক ক্রস। মেন্ডেলের ১ম ও ২য় সূত্র,ব্যতিক্রম(উদাহরণ ও ছক সহ) বর্ণান্ধতা হিমোফিলিয়া ABO ব্লাড গ্রুপের বৈশিষ্ট্য Rh ফ্যাক্টরে গর্ভধারণ জনিত জটিলতা ল্যামার্কের সূত্র ডারউইনবাদ নব্য ডারউইনবাদ .
_
_
★১২তম অধ্যায়-প্রাণীর অাচরণ :
ট্যাক্সেসের বৈশিষ্ট্য ও প্রকারভেদ সব FAP এর বৈশিষ্ট্য মৌমাছির সামাজিক সংগঠন .
-
-
-
-
-
#Forhad_Hossain_Azmani

-বাংলা ২য় পত্রে এ+ পাওয়ার চমকপ্রদ কিছু টেকনিক,দেখে নাও আজকের ব্লগে-

বাংলা ২য় পত্রের উপর A+ পাওয়ার জন্য কিছু কথা : (FOR - Test + HSC)
নির্মিতি : ৭০ নম্বর 
১। সংলাপ শিখেন (তাহলে খুদে গল্পের দরকার নেই)
২। খুদে বার্তা & ইমেইল শিখেন (তাহলে পত্র/দরখাস্তের প্রয়োজন নেই)
৩। অভিজ্ঞতা বর্ননা & প্রতিবেদন শিখেন (তাহলে দিনলিপি & ভাষণের দরকার নেই)
[[[[বি:দ্র : মজার ব্যাপার হলো। এগুলা কখনোই মুখস্ত শিখতে হয়না। শুধু বই থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ের উপর ধারণা রাখলেই হয়। বিশেষ করে এগুলোর মধ্যেই রোহিঙ্গা বিষয়ক একটি কমন পাবেন আশা করি।]]]]
৪। ভাবসম্প্রাসরণ (( বইয়ে যা আছে কষ্ট করে সব গুলাই রিডিং পড়ে নেন।)) (তাহলে সারাংশ/সারমর্ম পড়া লাগছে না। শুধু ভাবসম্প্রসারণের মূল ধারণা টা ভালো ভাবে ২ পেজ লিখলেই হবে)
৫। রচনা (বিজ্ঞানের সব গুলো, শিল্পের সবগুলো, শীতের সকাল, শ্রমের মর্যাদা, অধ্যবসায়, ইন্টারনেটের সবগুলো, দিবসের সবগুলো, মাদকাশক্তি শিখেন) {খুব বেশি লিখলেই বস হয়ে গেলাম না, অন্তত ৮ টি পয়েন্ট। প্রতিটি পয়েন্ট ১ পেজ করে & শেষে উপসংহার ৫ লাইন লিখলেই হবে)
৬। পারিভাষিক শব্দ (২০০১-২০১৭ বোর্ড শিখেন) (অনুবাদ দরকার নেই)
_____________________________________
ব্যাকরণ - ৩০ নম্বর
১ ও ২। উচ্চারণ ও বানানের রুলস না পড়াই ভালো। আজাইরা। মনে থাকেনা। এর থেকে ভালো ২০০১-২০১৭ বোর্ডের সব গুলো প্র‍্যাক্টিস করেন। এবং বইয়ের গুলো সব প্র‍্যাক্টিস করেন। তাহলেই হবে।
৩। উপসর্গ শিখবেন। (যেগূলো দ্বারা শব্দ ২-৩ টার বেশি বানানো যায়না, ওগুলোই গুরুত্বপূর্ণ) এবং উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই, দ্যোতকতা আছে (এ প্রশ্নের উত্তর টা বই থেকে শিখেন)
এবং সমাস শিখেন, চিনেন, কোনটা কোন সমাস মাথায় রাখেন, ব্যাসবাক্য সহ
৪। পদ শিখেন, চিনেন, চিহ্নিত করা শিখেন। এবং প্র‍্যাক্টিস (২০০১-২০১৭ বোর্ড)
৫। বাক্যতত্ত্ব শিখেন ( সকল ধরনের বাক্য চিনেন, তৈরী করা শিখেন) এবং প্র‍্যাক্টিস (২০০১-২০১৭ বোর্ড)
৬। বাক্য শুদ্ধিকরণ (২০০১-২০১৭ বোর্ড শিখেন)
--------------------------------------
#কার্টেসি-Farabi Hasan Sohag

-পড়া মনে রাখো মাত্র ৫ টি টেকনিক অবলম্বন করে



পড়া মনে রাখার ৫টি দারুণ কার্যকরী কৌশলঃ-
-
লেখাপড়া বেশিক্ষণ মনে রাখতে পারেন না? কোন পড়া সহজে মুখস্থ হতে চায় না, কিংবা কঠিন কিছু বারবার চেষ্টা করেও শিখতে পারেন না? যতই চেষ্টা করুন না কেন, পরীক্ষার হলে গিয়ে সব ভুলে যান? আপনার সমস্ত সমস্যার সমাধান পেতে পারেন এই ফিচারে। জেনে নিন খুব সহজে কোন কিছু শিখে ফেলার দারুণ কার্যকরী ও বৈজ্ঞানিক ৫টি কৌশল। কেবল লেখাপড়া নয়, অন্য যে কোন কিছু শিখতেও কাজে আসবে।
-
১) চোখ দেখবে, কান শুনবে, মস্তিষ্ক বুঝবে
কঠিন পড়াগুলো জোরে জোরে উচ্চারণ করে পড়ুন। তবে কেবল জোরে উচ্চারণ করলেই হবে না, শুনতে হবে খুব মন দিয়ে। একই সাথে বিষয়টা বোঝার চেষ্টাও করতে হবে। যে অংশ্তি বুঝতে পারবেন না, সেটি একাধিক বার করে পড়ুন।
-
২) লিখে লিখে পড়া অভ্যাস করুন যেটা পড়বেন, সেটা না দেখে লেখার চেষ্টা করুন। লিখে মিলিয়ে নিন যে ঠিক হলো কিনা। ঠিক না হলে আবার লিখুন। কয়েকবার লিখলেই রপ্ত হয়ে যাবে।
-
৩) আছে বিশেষ সময়
কঠিন কিছু শিখতে হলে নিজেকে জোর করে পড়ার টেবিলে বসাবেন না। শুধুমাত্র তখনই চেষ্টা করুন। যখন আপনি খুব আগ্রহ বোধ করছেন শেখার। নাহলে রাতের বেলায় পড়তে বসুন। যেন পড়া শেষ করেই ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। এতে পড়া সহজে মনে থাকবে।
-
৪) মস্তিষ্ককে সময় দিন একটা কিছু ঝানার পর মস্তিষ্কের সময় প্রয়োজন সেই তথ্যগুলো গুছিয়ে সংরক্ষন করতে। মূলত আপনার ঘুমের সময়ে মস্তিষ্ক এই কাজটি করে। তাই চেষ্টা করুন খুব কঠিন কিছু পড়া শেষ করার মত ১০ মিনিট ঘুমিয়ে নিতে। এই সময়ে মস্তিষ্ক সব ডাটা সুন্দরভাবে গুছিয়ে নেবে। যদি সেটা সম্ভব না হয়, রাতে ঘুমাতে যাবার আগে সমস্ত পড়া অবশ্যই একবার রিভিশন করে তবেই ঘুমাতে যাবেন।
-
৫) কিছু বিশেষ পদ্ধতি
ছোট্ট কিছু কৌশল অবলম্বন করুন নিজের সাথে। যেমন ধরুন, পড়াটি না শেখা পর্যন্ত টেবিল ছেড়ে উঠবেন না। কিংবা এটা শেখা হলে এক কাপ চা খাবেন। এমন ছোট ছোট পুরস্কারের ব্যবস্থা করুন নিজের জন্য। একটা কঠিন পড়া শেষ করে মিনিট পাঁচেক গল্প করে নিলেও মন ফ্রেশ হয়।
#কার্টেসি-Shahadat hossen(Ruet)

Thursday, February 15, 2018

-জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ টু জেড সকল খুটিনাটি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার এ টু জেড
.
-ক ইউনিট
*
-নৈর্ব্যক্তিকঃ ১০০ মার্কস।
বাংলা-৫০, ইংরেজী-৫০।
*****************-*******************
- পাশ মার্কসঃ ৪০। ইংলিশ পেতে হলে ইংরেজীতে অবশ্যই ৫০ এর মধ্যে সর্বনিম্ন ২৫
পেতে হবে।
****************-*****************
-জিপিএ ৩০ মার্কসঃ এসএসসি-১২, এইচএসসি-১৮।
******************-****************
-আসন সংখ্যাঃ
বাংলা-৬৫টি
ইংরেজী-৬৫টি।
.
---------_--------------------
- খ ইউনিট (ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ)
***************-****************
-নৈর্ব্যক্তিকঃ ১০০ মার্কস।
আবশ্যিকঃ ইংরেজী-২০, পদার্থ-২০, রসায়ন-২০
ঐচ্ছিকঃ উচ্চতর গণিত-২০, জীববিজ্ঞান-২০, আইসিটি-২০।
(ঐচ্ছিক অংশ হতে যেকোন দুটি বিষয় আন্সার করতে হবে)
***********************-***********************
-জিপিএঃ ৩০ মার্কস। এসএসসি- ১২ মার্কস, এইচএসসি-১৮ মার্কস।
***********************-***********************
-সাবজেক্টসমূহঃ
CSE ( Computer Science & Engineering)
- ৪০ টি আসন।
ECE ( Electronics & Communication Engineering)
- ৪০ টি আসন।
ESE ( Environmental Science & Engineering)
- ৪০ টি আসন।
.
************************-***********************
-গ ইউনিট (ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, BBA)
******************-********************
- নৈর্ব্যক্তিকঃ ১০০ মার্কস।
আবশ্যিকঃ বাংলা-১০, ইংরেজী- ২৫, ম্যাথ-১৫।
-কমার্সের স্টুডেন্টদের জন্যঃ হিসাববিজ্ঞান-২৫, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ-২৫।
-সাইন্স ও আর্টসের স্টুডেন্টদের জন্যঃ সাধারণ জ্ঞানঃ ৫০।
********************-*****************
-পাশ মার্কসঃ ৪০। আলাদা পাশ করতে হবেনা। ফিন্যান্স পেতে হলে ম্যাথে ৮+
পেতে হবে।
********************-******************
-জিপিএঃ ৩০ মার্কস। এসএসসি-১২, এইচএসসি-১৮।
*********************-******************
আসন সংখ্যাঃ
ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং (F&B)- ৬০ টি।
হিসাববিজ্ঞান (AIS)- ৬০ টি।
মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ (HRM)- ৬০ টি।
.
********************-******************
-ঘ ইউনিট (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ)
********************-******************
-নৈর্ব্যক্তিকঃ ১০০ মার্কস→ বাংলা-২০,
ইংরেজী-৩০, সাধারণ জ্ঞান-৩০ (বাংলাদেশ
বিষয়াবলী-২০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী-১৫),
গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা-১৫
*******************-*******************
-পাশ মার্কসঃ ৪০ (ইংরেজীতে অবশ্যই ১২
পেতে হবে)
********************-******************
- জিপিএ- ৩০ মার্কস। এসএসসি-১২, এইচএসসি-১৮।
**********************-*****************
-সাবজেক্ট ও আসন সংখ্যাঃ
আইন - ৬০ টি।
অর্থনীতি -৬০ টি।
পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন- ৬০টি।
ফকলোর- ৬০টি।
নৃবিজ্ঞান -৬০টি।
পপুলেশন সাইন্স- ৬০টি।
স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন- ৬০ টি।
********************-*******************
আসন সংখ্যা বন্টনঃ আর্টসের স্টুডেন্টদের জন্য ৬০%,
সাইন্সের স্টুডেন্টদের জন্য ২৮%, কমার্সের স্টুডেন্টদের জন্য ১২%।

- ঙ ইউনিট।
************************-***********************
- নৈর্ব্যক্তিক ১০০টি।
→বাংলা- ২০, ইংরেজী- ২০, চারুকলা- ২০, সঙ্গীত- ২০, থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স
স্টাডিজ- ২০, ফিল্ম এন্ড মিডিয়া-২০।
************************-**********************
- ব্যবহারিক পরীক্ষাঃ ১০০ মার্কস।
নৈর্ব্যক্তিক পাশ মার্কস- ৩৫, ব্যবহারিক পাশ মার্কস- ৫০।
ব্যবহারিক পরীক্ষা লিখিত পরীক্ষার এক সপ্তাহ পরে অনুষ্ঠিত হয়।
************************-***********************
- জিপিএঃ ৩০ মার্কস। এসএসসি-১২, এইচএসসি-১৮।
************************-***********************
- সাবজেক্ট ও আসন সংখ্যাঃ
সঙ্গীতঃ আসন ৬০ টি।
চারুকলাঃ আসন ৫০ টি।
থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজঃ আসন ৫০ টি।
ফিল্ম এন্ড মিডিয়াঃ আসন ৩০ টি।
#কার্টেসি-Shafayat Hosain

-পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাবার চমকপ্রদ কিছু টেকনিক

এইস.এস.সি ২০১৮ ব্যাচের জুনিয়রা, যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে/ অন্যন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে চাও,, তাদের জন্য কিছু কথা। সময় নিয়ে পড়ে নিও । _________________________________________________________ অনেকগুলো কারণে প্রতিবছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছু বন্ধুরা চান্স পেতে ব্যর্থ হয়। যেমন- # এখন পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে রেজাল্ট ভালো করা অনেক সহজ। সুতরাং, যারা যে.এস.সি, এস.এস.সি, এইস.এস.সি.তে ধারাবাহিকভাবে ভালো ফলাফল করে আসছে, তাদের মনের মধ্যে সবসময় এ একটা অতিরিক্ত আত্ববিশ্বাস কাজ করে। তাদের ধারণা, তাদের মত মেধাবীরা যদি চান্স না পায়, তাহলে মনেহয় সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উঠবে ! তাই, তারা ভর্তি পরীক্ষার জন্য তেমন মাথা ঘামায়না। যার ফলাফল পায় রেজাল্ট প্রকাশিত হবার পর ! # একই ঘটনার বিপরীত চিত্র ও দেখা যায়। যেসব স্টুডেন্ট পড়ালেখাতে খুব একটা ভালনা, যারা পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে খুব একটা ভালো ফলাফল করেনি, তাদের মনে আবার হীনমন্যতা কাজ করে !! তারা নিজেদেরকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপদার্থ মনে করে ! তাদের ধারণা, তারা বোদহয়, ন্যাশনালে পরীক্ষা দিয়েও চান্স পাবেনা !! তাদের ধারণা থাকে, "যারা এস.এস.সি এইস.এস.সি তে ভালো রেজাল্ট(এ +/গোল্ডেন) পেয়েছে, চান্স শুধু তারাই পাবে !!" # অথচ, প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় যেসব ছাত্র-ছাত্রীরা মেরিট পজিশনে প্রথমদিকে থাকে, তাদের ১০ জনের মধ্যে ৬ জনের এস.এস.সি এইস.এস.সি'র গড় জি.পি.এ. থাকে ৩.৫-৪.৫ এর মধ্যে !!! অর্থাত, ভালো রেজাল্ট থাকলেই চান্স পাওয়া যায়না, চান্স তারাই পায়, যারা পরিশ্রমী ও যারা ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে পারে। # অনেকে আছে, বিশেষ করে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা, তারা আসলে নিজেদের ডেস্টিনেশন ই ঠিক করতে পারেনা। তারা মেডিকেল,বুয়েট,ডিফেন্স,মেরিন,বিশ্ববিদ্যালয়... সবগুলোতেই চান্স পেতে চাই এবং সবগুলার কোচিং করে !! বছর শেষে দেখা যায়, তারা কোথাও চান্স পায়নি !! তাই, লক্ষ্য ঠিক করাটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যে, যে সেক্টরে যেতে চাই, সে যেন শুধু সেটার উপরেই জোর দেয় ও ভালোভাবে প্রস্তুতি নেয়। একসাথে সব করতে গেলে শেষ পর্যন্ত আর কিছুই করা যায়না। # অনেকে আবার বুঝতে পারেনা, বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে দিনে-রাতে আসলে কতক্ষন পড়ালেখা করা উচিত। এক্ষেত্রে অনেক গুরুজন ই তাদেরকে ১৮ ঘন্টা,২০ ঘন্টা পড়ালেখা করার ভয় ঢুকিয়ে দেয় ! কিন্তু সত্যি বলতে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মোটামুটি মানসম্পন্ন একটা সাবজেক্টে চান্স পাবার জন্য প্রতিদিন সঠিক উপায়ে জেনে বুঝে ৩-৪ ঘন্টা পড়ালেখা করা ই যথেষ্ট !! তোমাকে শুধু বুঝতে হবে, এবছরের ভর্তি পরীক্ষায় কোন কোন টপিকস গুরুত্বপূর্ণ ও কেন গুরুত্বপূর্ণ ?? কেন অন্যান্য টপিকস এর গুরুত্ব নাই ?? সাধারনত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষায় নির্দৃষ্ট কিছু টপিকস থেকে ঘুরেফিরে প্রশ্ন আসে। তাই, কেও যদি সারা বই না পড়ে বরং, ঐগুলাই ভালো করে পড়ে, তবে সে হাসতে হাসতেই চান্স পেয়ে যাবে। পড়তে পড়তে শহীদ হয়ে যাওয়া লাগবেনা। # কিছু কিছু টপিকস আছে, যেগুলা আসলেই অনেক বেশি জটিল ও মনে রাখা কঠিন। সেগুলোতে প্রচলিতভাবে না শিখে বরং ছন্দ, কবিতা,গল্পের মাধ্যমে শেখা যেতে পারে। যদিও পরীক্ষার হলে ছন্দ কবিতা খুব একটা কাজে দেয়না। কিন্তু যারা একেবারেই পারবেনা, এ পদ্ধতি শুধুমাত্র তাদের জন্য। আর, যেগুলো মুখস্ত করার কাজ না, বরং নির্ণয় করতে হয়, যেমন- কারক, সমাস, সন্ধি, রাইট ফর্ম অব ভার্ব, সাবজেক্ট ভার্ব এগ্রিমেন্ট... এগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হলে একটু টেকনিকাল হতেই হবে। যদি একটু টেকনিকাল হওয়া যায় ও ডিফারেন্টভাবে ভাবতে পার, তবে এইসব টপিকস আয়ত্ত করার জন্য ১ ঘন্টা ই যথেষ্ট !! এবং, একবার আয়ত্ত করতে পারলে, সারা জীবনেও আর এগুলোতে ভুল হবেনা !! #বাংলা এবং ইংরেজির গ্রামার অংশকে বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী ই যমের মত ভয় পায় ! তাদের উদ্দেশ্যে বলব, ভর্তি পরীক্ষায় বাংলাতে অর্ধেক প্রশ্ন আসে প্রথম পত্র অংশ থেকে !! আর গ্রামারের প্রশ্ন করা হয় হাতে গোনা ৮-১০ টি টপিকস এর উপর থেকে !! তাই, কেও বাংলা গ্রামারের জন্য ৩০-৩৫ টা টপিকস না শেষ করে বরং ইম্পর্টান্ট ৭-৮ টা টপিকস ভালোভাবে শেষ কর। এমনভাবে শেষ কর, যেন ৮-১০ টা প্রশ্নের মধ্যে তুমি ৪-৫ টা প্রশ্নের সঠিক উত্তর করতে পার। ইংরেজির ক্ষেত্রে খ ইউনিটে ৭-১০ টা প্রশ্ন আসে টেক্সট বই থেকে। ঘ আর গ ইউনিতে আসে ২-৩ টা প্রশ্ন। তবে, ইংরেজিতে বিগত সালের প্রশ্ন থেকে ৫-৭ টি প্রশ্ন আসে !! গ্রামার অংশ ও আসে হাতে গোনা কয়েকটি টপিকস থেকেই !! কাজেই বাংলা ও ইংরেজিতে ভয়ের কিছু নাই। # সাধারনত কিছু কিছু ছাত্রছাত্রী থাকে, যাদের পড়ালেখাতে আগ্রহের পরিবর্তে পাশের বেঞ্চের মেয়েটা/ছেলেটাকে ইমপ্রেস করার ব্যাপারেই বেশি আগ্রহ দেখা যায়। কেও কেও আছে, যারা পড়ালেখার পরিবর্তে বরং কিভাবে অনেক বেশি বন্ধু বানানো যায় ও তাদের সাথে আড্ডা দেওয়া যায়, ফেসবুকে কিছুক্ষন পরপরই সেলফি আপলোড করা যায়, সেগুলোতেই বেশি মনোযোগী হতে দেখা যায়, ভর্তি পরীক্ষাতে এরাই সবচেয়ে বড় বাঁশটা খায়। তাই, তোমাদের প্রতি পরামর্শ রইলো, বন্ধু বান্ধবী যার বেশি দরকার, সে দয়া করে কিছুদিন ধৈর্য ধর। চান্স পাবার পর বন্ধু বান্ধবীর অভাব হবেনা। আর, পড়ালেখা না করে এসব নিয়ে ব্যস্ত থাকলে তুমি চান্স পাবেনা কোথাও। আর, যদি কথাও চান্স না পাও, তবে তোমার দিকে রাস্তার একটা কুত্তা ও তাকাবেনা !! এটাই বাস্তবতা। একাডেমিক পড়ালেখা আর ভর্তি পরীক্ষার পড়ালেখা সম্পূর্ণ আলাদা। তাই, সঠিক গাইডলাইন পাবার জন্য কোচিং সেন্টারের অনেকে কোচিং সেনটারের ধারস্থ হয় । কিন্তু সমস্যা হয় তখন ই , যখন কেও সঠিক কোচিং সেন্টার চিনতে ভুল করে। কোচিং সেন্টারে ভর্তি হবার ক্ষেত্রে সাধারনত ছাত্রছাত্রীরা: -অভিভাবকদের/অত্তীয়সজন/ পাড়ার বড় ভাইবোন/ কলেজের স্যারদের পরামর্শকে গুরুত্ব দেয়, অথচ তারা নিজেরাই কোথাও চান্স পায়নি জীবনে ! - বন্ধুদের দেখাদেখি কোনো কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে যায়। -কোচিং সেন্টারগুলোর মধুভরা ওয়ারিয়েন্তেসনে প্রলুব্ধ হয়। - কোচিং সেন্টারগুলোর বিজ্ঞাপন ও ছবি বানিজ্যে উদ্বুধ্যা হয়। বিজ্ঞাপন ও ছবি বানিজ্যের একটা সাধারণ ব্যাপার লক্ষ্য কর: কতিপয় কোচিং সেন্টারগুলো.সেন্টারগুলো সবাই ই দাবি করে, প্রতিবার তাদের কোচিং থেকে নাকি ৩০০০-৫০০০ স্টুডেন্ট ঢাবিতে চান্স পায় ! কিন্তু, ঢাবিতে সিট্ আছেইতো মাত্র ৬০০০-৬৫০০!! ওদের হিসাব অনুযায়ী সিট্ থাকার কথা ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার !! আরেকটা মজার ব্যাপার হলো, মেরিট পজিশনে যেসব ছাত্রছাত্রীরা প্রথম,দ্বিতীয়,তৃতীয় হয়,, ওদের ছবি ই সবগুলো কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপনে দেওয়া থাকে !! শুধু তাই ই না, ওরা যে শুধু ওই কোচিং ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও কোচিং করেনি, এমন লিখিত প্রমান ও সবগুলো কোচিং এ থাকে !!! তাই, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রীদের প্রতি অনুরোধ রইলো, নিজের চোখ কান খোলা রাখো। বড়দের কথায়/বন্ধুদের দেখাদেখি/বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ হয়ে কোথাও ভর্তি হবেনা। ভর্তি হবার ক্ষেত্রে নিজের মগজ কে কাজে লাগাবার চেষ্টা কোরো। # প্রতি বছর ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েরভর্তি পরীক্ষার সময় এগিয়ে আনা হচ্ছে। আগামীবছর ও ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে তোমাদের উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট ঘোষণার ৩০-৪০ দিনের মধ্যে !! তাই, কেও যদি উচ্চ-মাধ্যমিকের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নেবার পরিকল্পনা করে থাক, তবে সেটা হবে একটা মস্ত বড় ভুল ! কারণ, এত কম সময়ে কোনভাবেই ভর্তি পরীক্ষার সম্পূর্ণ/অর্ধেক প্রস্তুতি নেওয়া ই সম্ভব হবেনা !! অন্যান্যবার "সেকেন্ড টাইম" ভর্তির সুযোগ থাকায়, প্রথমবার যারা চান্স পেতনা, তারা দ্বিতীয়বার ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে চান্স পেত। কিন্তু, যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় "সেকেন্ড টাইম" এর সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে, কাজেই তোমাকে যা করার/ যা প্রস্তুতি নেওয়ার, সেটা একবার ই নিতে হবে !! এবার মিস, তো সারাজীবন ই মিস !! কাজেই, যাদের চান্স পাবার ইচ্ছা আছে, তারা এখন থেকেই অল্প অল্প করে পড়ালেখা শুরু করে দাও। আর এই গ্রুপের পোস্ট গুলো ফলো করো । Think different Think positive. ভর্তিচ্ছুক আদরের ছোট কচিকাচা ভাই বোনেদের শুভকামনা
#সংগ্রহীত