#সংগ্রহীত
Thursday, February 15, 2018
-পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাবার চমকপ্রদ কিছু টেকনিক
এইস.এস.সি ২০১৮ ব্যাচের জুনিয়রা, যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে/ অন্যন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে চাও,, তাদের জন্য কিছু কথা। সময় নিয়ে পড়ে নিও । _______________ _______________ _______________ ____________ অনেকগুলো কারণে প্রতিবছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছু বন্ধুরা চান্স পেতে ব্যর্থ হয়। যেমন- # এখন পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে রেজাল্ট ভালো করা অনেক সহজ। সুতরাং, যারা যে.এস.সি, এস.এস.সি, এইস.এস.সি.তে ধারাবাহিকভাবে ভালো ফলাফল করে আসছে, তাদের মনের মধ্যে সবসময় এ একটা অতিরিক্ত আত্ববিশ্বাস কাজ করে। তাদের ধারণা, তাদের মত মেধাবীরা যদি চান্স না পায়, তাহলে মনেহয় সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উঠবে ! তাই, তারা ভর্তি পরীক্ষার জন্য তেমন মাথা ঘামায়না। যার ফলাফল পায় রেজাল্ট প্রকাশিত হবার পর ! # একই ঘটনার বিপরীত চিত্র ও দেখা যায়। যেসব স্টুডেন্ট পড়ালেখাতে খুব একটা ভালনা, যারা পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে খুব একটা ভালো ফলাফল করেনি, তাদের মনে আবার হীনমন্যতা কাজ করে !! তারা নিজেদেরকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপদার্থ মনে করে ! তাদের ধারণা, তারা বোদহয়, ন্যাশনালে পরীক্ষা দিয়েও চান্স পাবেনা !! তাদের ধারণা থাকে, "যারা এস.এস.সি এইস.এস.সি তে ভালো রেজাল্ট(এ +/ গোল্ডেন) পেয়েছে, চান্স শুধু তারাই পাবে !!" # অথচ, প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় যেসব ছাত্র-ছাত্রীরা মেরিট পজিশনে প্রথমদিকে থাকে, তাদের ১০ জনের মধ্যে ৬ জনের এস.এস.সি এইস.এস.সি'র গড় জি.পি.এ. থাকে ৩.৫-৪.৫ এর মধ্যে !!! অর্থাত, ভালো রেজাল্ট থাকলেই চান্স পাওয়া যায়না, চান্স তারাই পায়, যারা পরিশ্রমী ও যারা ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে পারে। # অনেকে আছে, বিশেষ করে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা, তারা আসলে নিজেদের ডেস্টিনেশন ই ঠিক করতে পারেনা। তারা মেডিকেল,বুয়েট,ড িফেন্স,মেরিন,বি শ্ববিদ্যালয়... সবগুলোতেই চান্স পেতে চাই এবং সবগুলার কোচিং করে !! বছর শেষে দেখা যায়, তারা কোথাও চান্স পায়নি !! তাই, লক্ষ্য ঠিক করাটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যে, যে সেক্টরে যেতে চাই, সে যেন শুধু সেটার উপরেই জোর দেয় ও ভালোভাবে প্রস্তুতি নেয়। একসাথে সব করতে গেলে শেষ পর্যন্ত আর কিছুই করা যায়না। # অনেকে আবার বুঝতে পারেনা, বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে দিনে-রাতে আসলে কতক্ষন পড়ালেখা করা উচিত। এক্ষেত্রে অনেক গুরুজন ই তাদেরকে ১৮ ঘন্টা,২০ ঘন্টা পড়ালেখা করার ভয় ঢুকিয়ে দেয় ! কিন্তু সত্যি বলতে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মোটামুটি মানসম্পন্ন একটা সাবজেক্টে চান্স পাবার জন্য প্রতিদিন সঠিক উপায়ে জেনে বুঝে ৩-৪ ঘন্টা পড়ালেখা করা ই যথেষ্ট !! তোমাকে শুধু বুঝতে হবে, এবছরের ভর্তি পরীক্ষায় কোন কোন টপিকস গুরুত্বপূর্ণ ও কেন গুরুত্বপূর্ণ ?? কেন অন্যান্য টপিকস এর গুরুত্ব নাই ?? সাধারনত বিশ্ববিদ্যালয়গু লোর ভর্তি পরীক্ষায় নির্দৃষ্ট কিছু টপিকস থেকে ঘুরেফিরে প্রশ্ন আসে। তাই, কেও যদি সারা বই না পড়ে বরং, ঐগুলাই ভালো করে পড়ে, তবে সে হাসতে হাসতেই চান্স পেয়ে যাবে। পড়তে পড়তে শহীদ হয়ে যাওয়া লাগবেনা। # কিছু কিছু টপিকস আছে, যেগুলা আসলেই অনেক বেশি জটিল ও মনে রাখা কঠিন। সেগুলোতে প্রচলিতভাবে না শিখে বরং ছন্দ, কবিতা,গল্পের মাধ্যমে শেখা যেতে পারে। যদিও পরীক্ষার হলে ছন্দ কবিতা খুব একটা কাজে দেয়না। কিন্তু যারা একেবারেই পারবেনা, এ পদ্ধতি শুধুমাত্র তাদের জন্য। আর, যেগুলো মুখস্ত করার কাজ না, বরং নির্ণয় করতে হয়, যেমন- কারক, সমাস, সন্ধি, রাইট ফর্ম অব ভার্ব, সাবজেক্ট ভার্ব এগ্রিমেন্ট... এগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হলে একটু টেকনিকাল হতেই হবে। যদি একটু টেকনিকাল হওয়া যায় ও ডিফারেন্টভাবে ভাবতে পার, তবে এইসব টপিকস আয়ত্ত করার জন্য ১ ঘন্টা ই যথেষ্ট !! এবং, একবার আয়ত্ত করতে পারলে, সারা জীবনেও আর এগুলোতে ভুল হবেনা !! #বাংলা এবং ইংরেজির গ্রামার অংশকে বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী ই যমের মত ভয় পায় ! তাদের উদ্দেশ্যে বলব, ভর্তি পরীক্ষায় বাংলাতে অর্ধেক প্রশ্ন আসে প্রথম পত্র অংশ থেকে !! আর গ্রামারের প্রশ্ন করা হয় হাতে গোনা ৮-১০ টি টপিকস এর উপর থেকে !! তাই, কেও বাংলা গ্রামারের জন্য ৩০-৩৫ টা টপিকস না শেষ করে বরং ইম্পর্টান্ট ৭-৮ টা টপিকস ভালোভাবে শেষ কর। এমনভাবে শেষ কর, যেন ৮-১০ টা প্রশ্নের মধ্যে তুমি ৪-৫ টা প্রশ্নের সঠিক উত্তর করতে পার। ইংরেজির ক্ষেত্রে খ ইউনিটে ৭-১০ টা প্রশ্ন আসে টেক্সট বই থেকে। ঘ আর গ ইউনিতে আসে ২-৩ টা প্রশ্ন। তবে, ইংরেজিতে বিগত সালের প্রশ্ন থেকে ৫-৭ টি প্রশ্ন আসে !! গ্রামার অংশ ও আসে হাতে গোনা কয়েকটি টপিকস থেকেই !! কাজেই বাংলা ও ইংরেজিতে ভয়ের কিছু নাই। # সাধারনত কিছু কিছু ছাত্রছাত্রী থাকে, যাদের পড়ালেখাতে আগ্রহের পরিবর্তে পাশের বেঞ্চের মেয়েটা/ ছেলেটাকে ইমপ্রেস করার ব্যাপারেই বেশি আগ্রহ দেখা যায়। কেও কেও আছে, যারা পড়ালেখার পরিবর্তে বরং কিভাবে অনেক বেশি বন্ধু বানানো যায় ও তাদের সাথে আড্ডা দেওয়া যায়, ফেসবুকে কিছুক্ষন পরপরই সেলফি আপলোড করা যায়, সেগুলোতেই বেশি মনোযোগী হতে দেখা যায়, ভর্তি পরীক্ষাতে এরাই সবচেয়ে বড় বাঁশটা খায়। তাই, তোমাদের প্রতি পরামর্শ রইলো, বন্ধু বান্ধবী যার বেশি দরকার, সে দয়া করে কিছুদিন ধৈর্য ধর। চান্স পাবার পর বন্ধু বান্ধবীর অভাব হবেনা। আর, পড়ালেখা না করে এসব নিয়ে ব্যস্ত থাকলে তুমি চান্স পাবেনা কোথাও। আর, যদি কথাও চান্স না পাও, তবে তোমার দিকে রাস্তার একটা কুত্তা ও তাকাবেনা !! এটাই বাস্তবতা। একাডেমিক পড়ালেখা আর ভর্তি পরীক্ষার পড়ালেখা সম্পূর্ণ আলাদা। তাই, সঠিক গাইডলাইন পাবার জন্য কোচিং সেন্টারের অনেকে কোচিং সেনটারের ধারস্থ হয় । কিন্তু সমস্যা হয় তখন ই , যখন কেও সঠিক কোচিং সেন্টার চিনতে ভুল করে। কোচিং সেন্টারে ভর্তি হবার ক্ষেত্রে সাধারনত ছাত্রছাত্রীরা: -অভিভাবকদের/ অত্তীয়সজন/ পাড়ার বড় ভাইবোন/ কলেজের স্যারদের পরামর্শকে গুরুত্ব দেয়, অথচ তারা নিজেরাই কোথাও চান্স পায়নি জীবনে ! - বন্ধুদের দেখাদেখি কোনো কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে যায়। -কোচিং সেন্টারগুলোর মধুভরা ওয়ারিয়েন্তেসনে প্রলুব্ধ হয়। - কোচিং সেন্টারগুলোর বিজ্ঞাপন ও ছবি বানিজ্যে উদ্বুধ্যা হয়। বিজ্ঞাপন ও ছবি বানিজ্যের একটা সাধারণ ব্যাপার লক্ষ্য কর: কতিপয় কোচিং সেন্টারগুলো.সেন্টারগুলো সবাই ই দাবি করে, প্রতিবার তাদের কোচিং থেকে নাকি ৩০০০-৫০০০ স্টুডেন্ট ঢাবিতে চান্স পায় ! কিন্তু, ঢাবিতে সিট্ আছেইতো মাত্র ৬০০০-৬৫০০!! ওদের হিসাব অনুযায়ী সিট্ থাকার কথা ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার !! আরেকটা মজার ব্যাপার হলো, মেরিট পজিশনে যেসব ছাত্রছাত্রীরা প্রথম,দ্বিতীয়,ত ৃতীয় হয়,, ওদের ছবি ই সবগুলো কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপনে দেওয়া থাকে !! শুধু তাই ই না, ওরা যে শুধু ওই কোচিং ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও কোচিং করেনি, এমন লিখিত প্রমান ও সবগুলো কোচিং এ থাকে !!! তাই, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রীদের প্রতি অনুরোধ রইলো, নিজের চোখ কান খোলা রাখো। বড়দের কথায়/বন্ধুদের দেখাদেখি/ বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ হয়ে কোথাও ভর্তি হবেনা। ভর্তি হবার ক্ষেত্রে নিজের মগজ কে কাজে লাগাবার চেষ্টা কোরো। # প্রতি বছর ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় এগিয়ে আনা হচ্ছে। আগামীবছর ও ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে তোমাদের উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট ঘোষণার ৩০-৪০ দিনের মধ্যে !! তাই, কেও যদি উচ্চ-মাধ্যমিকের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নেবার পরিকল্পনা করে থাক, তবে সেটা হবে একটা মস্ত বড় ভুল ! কারণ, এত কম সময়ে কোনভাবেই ভর্তি পরীক্ষার সম্পূর্ণ/ অর্ধেক প্রস্তুতি নেওয়া ই সম্ভব হবেনা !! অন্যান্যবার "সেকেন্ড টাইম" ভর্তির সুযোগ থাকায়, প্রথমবার যারা চান্স পেতনা, তারা দ্বিতীয়বার ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে চান্স পেত। কিন্তু, যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় "সেকেন্ড টাইম" এর সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে, কাজেই তোমাকে যা করার/ যা প্রস্তুতি নেওয়ার, সেটা একবার ই নিতে হবে !! এবার মিস, তো সারাজীবন ই মিস !! কাজেই, যাদের চান্স পাবার ইচ্ছা আছে, তারা এখন থেকেই অল্প অল্প করে পড়ালেখা শুরু করে দাও। আর এই গ্রুপের পোস্ট গুলো ফলো করো । Think different Think positive. ভর্তিচ্ছুক আদরের ছোট কচিকাচা ভাই বোনেদের শুভকামনা
#সংগ্রহীত
#সংগ্রহীত
Subscribe to:
Post Comments (Atom)

No comments:
Post a Comment